ফজলি আমে ঐতিহ্য আছে, তবে বাজার নেই
——-আনন্দ শংকর রায় চৌধুরী
ফজলি আমের পেটেন্ট নিয়েছিল রাজশাহী। রাজশাহী জেলা প্রশাসনের চেষ্টায়। পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এসোসিয়েশন জি আই সংশোধনের আবেদন করে। আজকে জি আই দেয়া হয়েছে দুই জেলাকেই।
ফজলি আমটা বাংলাদেশ থেকে বাণিজ্যিক ভাবে উঠে যাবে কিছু দিনের মধ্যেই। এর কারণ লেট ভ্যারাইটির দুইটা হাইব্রিড আমের বাজার বেড়েছে। একটা ভারতীয় হাইব্রিড আম আম্রপালি। আরেকটা বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের হাইব্রিড আম “বারি আম ৪”। আম্রপালি আর বারি আম ৪ সারাদেশেই হতে পারে। ছোট গাছ। হেভি বেয়ারিং আম।
ফজলি আমে ঐতিহ্য আছে। তবে বাজার নেই।
এই আম নিয়ে রাজশাহী জেলা আর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মারামারি হাস্যকর মনে হচ্ছে। রাজশাহীর আসলে কোন পণ্য নেই।কালাইরুটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের। গম্ভীরাও চাঁপাইনবাবগঞ্জের। ক্ষিরসাপাতের জি আই চাঁপাইনবাবগঞ্জের।তাঁতের উৎপত্তিই চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট।এটার জি আই রাজশাহী নিয়েছে।তবে এটারও আপিল হয়েছে।কিছুদিন পরে নাটোরের কাঁচাগোল্লাকেও নিজেদের পণ্য দাবী করবে রাজশাহীবাসী।
তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমকেন্দ্রিক যে কালচার, তা শেষের পথে।বড় বড় বাগানগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে।আমে টাকা নেই।তারপরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম পাকে দেরীতে।করোনার মূল লকডাউনগুলো চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের উপর দিয়েই গেছে।
আমের ফলন হচ্ছে নওগাঁয়। নওগাঁর মানুষ কৃষি পছন্দ করে। আম্রপালি আর বারি আম ৪ এর প্রচুর ফলন হচ্ছে নওগাঁয়।
সবমিলিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যতোই কৃষির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখতে পায়,আমি তা দেখতে পাইনা। বাংলাদেশের কৃষির ভবিষ্যৎ চূড়ান্তভাবে খারাপ। সারাবিশ্বেই কৃষিকাজ কম টাকা আনে। বাংলাদেশের কৃষিকাজ মেরে ফেলায় একেবারে।
© All rights reserved © 2021 Chapai Sangbad