উজলেফার করা মামলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের সেই লম্পট-প্রতারক মমরেজ কারাগারে
চাঁপাই সংবাদ 🔳 নানা আলোচনা, ষড়যন্ত্র, কুট-কৌশল আর দালাল চক্রের দৌরাত্বের পর অবশেষে দ্বিতীয় স্ত্রী উজলেফা বেগম এর করা নারী নির্যাতন, যৌতুক নিরোধ আইনে দায়ের করা মামলায় সেই লম্পট-প্রতারক মমরেজ আলীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মমরেজ আলী (৫৮) চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার চাঁদলায় মহল্লার মৃত সাবেদ আলীর ছেলে। মঙ্গলবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শিপন কুমার মোদক এই আদেশ দেন।
কয়েকবার আদালতের কাছ থেকে মিমাংসার কথা বলে জামিন নিলেও মিমাংসার নামে উজলেফাকে মারধর ও ষড়যন্ত্র করে এবং নানভাবে হয়রানী, হুমকী-ধামকী, মামলা, দালাল চক্র দিয়ে অত্যচারসহ নানা কর্মকান্ড ঘটায় মমরেজ আলী।
মামলার নির্ধারিত দিনে (মঙ্গলবার ২২ আগষ্ট) মমরেজ আদালতে হাজির হলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মমরেজের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী উজলেফা বেগমের উপর নির্যাতন, হামলা-মামলা ও প্রতারণার বিষয়ে সরজিমন গিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় এই সেই মমরেজ ‘দৈনিক চাঁপাই দর্পণ’ এর সংবাদকর্মীদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়েরও করে। মিথ্যা মামলা দায়ের করে নিজে এবং দালাল চক্র দিয়েও নানাভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করে। এখনো ‘দৈনিক চাঁপাই দর্পণ’ এর সংবাদকর্মীদের নানাভাবে হয়রানী করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে মমরেজ ও তার দালাল চক্র।
উজলেফা বেগমের আইনজীবী-সিনিয়র আইনজীবী নুরল ইসলাম সেন্টু জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার চাঁদলায় মহল্লার মৃত সাবেদ আলীর ছেলে মমরেজ আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী উজলেফা বেগম এর নারী নির্যাতন, যৌতুক নিরোধ আইনে দায়ের করা মামলায় মমরেজ আলীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এই আদেশ দেন। এর আগে মমরেজ কয়েকবার আদালতের কাছ থেকে মিমাংসার কথা বলে জামিন নিলেও মিমাংসার নামে উজলেফাকে মারধর, ষড়যন্ত্র, নানভাবে হয়রানী, হুমকী-ধামকী, মামলা, দালাল চক্র দিয়ে অত্যচারসহ নানা কর্মকান্ড ঘটায় মমরেজ আলী। এব্যাপারে উজলেফা থানায় জিডিও করে।
এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার চাঁদলায় মহল্লার মৃত মোঃ আলাউদ্দিনের মেয়ে মামলার বাদী উজলেফা বেগম (৪০) বলেন, মমরেজ আলীর স্ত্রী থাকার পরও নানাভাবে কৌশলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে আমাকে বৈধভাবে বিয়ে করে।
তবে, অন্য মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্কের কারণে পূর্বের স্ত্রী তোহমিনার সাথে দীর্ঘদিন চলাফেরা বন্ধ রাখে এবং আমার সাথেও চলাফেরায় নানা কৌশল করে। শেষ পর্যন্ত আমার সাথে নানা দূর্ব্যাবহার করতে থাকে। আমি মমরেজের সাথে সংসার করার জন্য বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমার সাথে সংসার করতে ছলচাতুরী করে মমরেজ। মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে এবং আমার পরিবারের লোকজনকে হয়রানী করে।
গত ৬ জুন জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে মিমাংসার নামে বসে আমাকে মারধর করে, এঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করি। মামলার পর মমরেজ আলী মিমাংসার নামে নানা কুট কৌশল চালিয়ে যাচ্ছিলো। অবশেষে মঙ্গলবার মমরেজ আলীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আমি আমার উপর চালানো নির্যাতন ও হয়রানী এবং আমার জীবন ধ্বংস করার উপযুক্ত বিচার চায়।